আগামী ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন

পদ্মা সেতু: আনন্দে ভাসছে দক্ষিণের মানুষ

A He has once again shown the capability of Bangladesh to the world by building the Padma Bridge with his own funds by breaking the tactics of various domestic and foreign conspiracies.
Padma Bridge photos by Wikimedia
Padma Bridge

পদ্মার ঢেউ রে/মোর শূন্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা যারে- এই গানটি রচনা করেছেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। গানটি পদ্মা নদীকে ঘিরেই রচিত হয়েছে। কারণ কবি পদ্মা নদীকে খুব ভালোবাসতেন।
 "পদ্মাসেতু"

বাংলাদেশ নামক এক ছোট্ট ব-দ্বীপ রাষ্ট্রের দূরদর্শী এক রাষ্ট্রনায়কের অসীম সাহসিকতা ও পর্বতসম আত্মবিশ্বাসের অবিশ্বাস্য এক রূপকথা। এই রাষ্ট্রনায়ক আর কেউ নন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের উত্তরসূরি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যিনি দেশী-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্রের ব্যূহ ভেদ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশের সক্ষমতা আরো একবার চিনিয়েছেন বিশ্ববাসীকে। তাই পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতুই নয়, এটি আমাদের অনন্য গৌরব, মর্যাদা আর অহংকারের প্রতীক। দেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণের অনবদ্য উপাখ্যান। মাথা না নোয়ানো বাংলাদেশের দিকে অবাক বিস্ময়ে বিশ্ববাসীর তাকিয়ে থাকার প্রোজ্জ্বল উপলক্ষ। 




Padma Bridge photos by Wikimedia




এ সেতুর প্রতিটি পরতে পরতে বিম্বিত জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনার প্রত্যয় আর দৃঢ়তার প্রতিচ্ছবি। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিষ্কার বক্তব্য, “দেশ স্বাধীন করেছি, পদ্মাসেতুর ব্যাপারে মাথা নত করবো না” পদ্মাসেতু নিতান্তই একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু নয়। বিশ্বের সেরা প্রকৌশল বিদ্যা আর প্রযুক্তিতে নির্মিত দ্বিস্তরের এ দৃষ্টিনন্দন সেতুটি একটি দেশের জনগণের হৃদয়মথিত আবেগের নাম। স্বপ্ন পূরণে একটি বিশ্বাস ও আস্থার সার্থক রূপায়নের নাম। এ সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ইতোমধ্যে পদ্মাসেতু পারাপারের জন্য টোলের হার নির্ধারণ করেছে সরকার। এ সেতুতে যখন আলো জ্বলে উঠবে, সাথে সাথে জ্বলে উঠবে এদেশের কোটি মানুষের হৃদয় থেকে উৎসারিত আলো। চোখে-মুখে ফুটে উঠবে অপার্থিব আনন্দের বন্যা। 

অতিমাত্রায় অপদার্থের অপবাদ নিয়ে স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হওয়া হেলেন কেলার মাত্র ১৯ মাস বয়সে শ্রবণশক্তি, বাকশক্তি আর দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন। বিশ্বাস আর স্বপ্নের সংমিশ্রণে হয়ে ওঠেন মহিয়সী এবং তার জীবন বিরাট এক সত্যের প্রমাণ। বাস্তব কখনো কখনো কল্পনার চেয়েও অবিশ্বাস্য হয়। কেউ যদি বলে আমি পঁচিশ বছর বয়সে অর্ধ পৃথিবীর সম্রার্ট হবো- কথাটা গাঁজাখুরি বলে উরিয়ে দেবে অনেকে। কিন্তু আলেকজান্ডার তা হয়েছিলেন। সংবাদ পাঠক পদের জন্য এক আবেদন প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। কারণ তার কণ্ঠস্বর সুমধুর ছিল না। তিনিই আজকের অমিতাভ বচ্চন! একজন স্কুলছাত্র অংকে মনোযোগী না হওয়ায় এবং ছোট্ট অংক করতে না পারায় তাকে শিক্ষক বলেছিলেন, ‘তুমি জীবনে কিছুই হতে পারবে না।’ সেই বালক বড় হয়ে হয়েছিলেন মস্তবড় বিজ্ঞানী। তার নাম আলবার্ট আইনস্টান। যিনি কখনো পরাজিত হলেও লক্ষ্যহীন হন না, তিনিই প্রকৃত বিজয়ী। বাস্তবে পরাজয় স্বীকার না করলে কেউ পরাজিত হয় না। মানুষ তার স্বপ্নের চেয়েও বড় হতে পারে যদি সে যা আশা করে, তা বিশ্বাসে রূপান্তরিত করতে পারে। তেমনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করার। এখন তার সুযোগ্য কন্যা, সারা দেশের নেত্রী, আমাদের ‘মা’, আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখতেন। 

এটি সহজেই অনুমেয়। গোটা জাতি প্রস্তুত হচ্ছে এ ইতিহাসের স্বাক্ষী হতে, এক অনন্য গৌরবের অংশীদার হতে। পদ্মাসেতু নামক এ উপখ্যানের রচয়িতা জাতির পিতার রক্ত ও আদর্শের সুযোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর মতো একজন সফল রাষ্ট্রনায়কের সততা, দেশপ্রেম, দৃঢ় মনোবল, আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদার স্বাক্ষী হয়ে প্রমত্তা পদ্মার বুকে যুগ থেকে যুগান্তরে দাঁড়িয়ে থাকবে স্বপ্নের পদ্মাসেতু। অন্ধ মানুষরাও স্বপ্ন দেখেন। তাদের স্বপ্নে অন্য অনুভূতি, যেমন- শব্দ, গন্ধ, স্পর্শ ও আবেগ কাজ করে এবং এ স্বপ্ন অন্য মানুষদের স্বপ্নের মতোই প্রাণবন্ত হয়। বিশ্বাস পাহাড়কেও টলাতে পারে। বিশ্বাস একটি অদ্ভুত শক্তি, এটা কোন ম্যাজিক বা অলৌকিক বিষয় নয়। এই একটি কথা আপনার মনোবল বাড়াবে। বাস্তব স্বপ্ন ও চেষ্টা কখনোই ব্যর্থ হয় না। রাইট ভাতৃদ্বয় স্বপ্ন দেখতেন এমন এক যন্ত্র বানাবেন যাতে করে আকাশে ওড়া সম্ভব। তারা তৈরি করলেন প্লেন। সভ্যতার চেহারাই পরিবর্তন হয়ে গেল তাদের এই আবিষ্কারের ফলে। মার্কনি স্বপ্ন দেখতেন, স্রষ্টার শক্তিকে জয় করে কাজে লাগাবেন। তিনি যে ভুল স্বপ্ন দেখেননি তার প্রমাণ বেতার ও টেলিভিশন আবিষ্কার। বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন মাত্র তিন মাস স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। 


তিনি কখনো লক্ষ্যভ্রস্ট হননি। আজ তার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবে রূপ নিয়েছে। তিনি জয়ী হয়েছেন। দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আনন্দে ভাসছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন স্বপ্ন নয় বাস্তব। সব প্রস্তুতি শেষ, খুলছে আগামী ২৫ জুন। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এখন দিন গুনছে। আর তর সইছে না। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পরেই শিগগিরই দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন সহজ হবে তেমনি গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্প ও সম্ভাবনা। সৃষ্টি হবে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান। জীবনযাত্রার প্রয়োজনে শুরু হবে নানা ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য। এ সেতু শুধু শিল্প খাতেই নয়, সুফল পাওয়া যাবে কৃষি খাতে ও পর্যটন খাতে। দক্ষিণাঞ্চলে শিল্পায়ন তথা জাতীয় অর্থনীতিতে নতুন দুয়ার খুলে যাবে। পদ্মা নদীর ওপর পুরো পদ্মা সেতু প্রস্তুত হওয়ায় বাংলাদেশ উন্নয়ন এবং অগ্রগতির নতুন যুগে প্রবেশের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হলে তা যে কেবল এই সেতুর আশপাশের জনগণের জীবনমানকে এগিয়ে নেবে তা নয়, বরং এটা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে পুরো বাংলাদেশের মানুষের জীবনকেই এগিয়ে নেবে। পুরো দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু হবে একটি নতুন মাইলফলক। পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতির চেহারা বদলে যাব। বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে, যা মানুষের জীবনমানকে আরো উন্নত করবে। পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণে নদী শাসন ছিল বিরাট একটি চ্যালেঞ্জিং এবং জটিল কাজ। ২০১২ সালে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়নের সিদ্ধান্ত বাতিল করার পর সরে যায় আন্তর্জাতিক আরো তিনটি সংস্থা- এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। 

 এতে পদ্মার আকাশে দেখা দেয় কালো মেঘের ঘনঘটা। তবে সব বাধা উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের দুঃসাহসিক চ্যালেঞ্জ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। সেতুর কাজ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে উদ্বোধন করেছিলেন শেখ হাসিনা। ঠিক পাঁচ বছরের মাথায় পূর্ণ আকৃতি পায় স্বপ্নের সেতু। ৩ কোটি মানুষের জীবনে উন্নয়নের নতুন এক গতি আনবে পদ্মা সেতু। এই সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিরামহীন এবং নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের অবারিত এক সুযোগ সৃষ্টি হবে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার মাধ্যমে উত্তর-দক্ষিণ কোনো ভাগ থাকবে না। সব মিলে মিশে একাকার হয়ে যাবে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক গতি আসবে। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে পড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনে পদ্মা সেতু বিশাল এক সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। ইতোপূর্বে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে পণ্য আনার যে সংকট তা ছিল ভাষায় বর্ণনার মতো নয়। ফেরিঘাটে জামে পড়ে মালামাল পচে যাওয়া বা দুর্যোগে লঞ্চ আসতে না পারায় ক্ষতি সব মিলিয়ে সব সংকট দূর হয়ে যাচ্ছে এক পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে। এরই মধ্যে পদ্মার দুই পাড়ে শিল্প কলকারখানা ও অত্যাধুনিক আবাসিক এলাকা স্থাপন হচ্ছে। সরকারের এক সম্ভাব্যতা জরিপে বলা হয়, সেতুটি নির্মিত হলে দেশের জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে পদ্মা সেতু কী ধরনের ভূমিকা রাখবে সে প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের ভাষ্য হচ্ছে, পদ্মা সেতু চালু হলে জাতীয় অর্থনীতির সঙ্গে দক্ষিণ বাংলার অর্থনীতি যুক্ত হবে। 

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ বেড়ে জাতীয় আয়ে যোগ হবে। কারণ পদ্মা সেতুর সঙ্গে ওই অঞ্চলের অনেক অবকাঠামো উন্নত হচ্ছে। এই সেতুর কারণে আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বেড়ে যাবে। এশীয় হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে এই সেতুর যোগাযোগ। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণ বাংলার রাস্তাঘাট, টোলপ্লাজাসহ সবকিছুতে বড় ধরনের উন্নত হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এসব উন্নয়ন বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে এবং বিদেশি বিনিয়োগও বাড়বে। ৩১ মে বা ১ জুন থেকে রাতে সেতুর ল্যাম্পপোস্টগুলো আলো ছড়াবে। বিদ্যুতের সরবরাহ বাড়লে এই এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন হবে। পায়রা বন্দর, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন, ফোর লেনের পায়রা সেতু, শেরে বাংলা নৌঘাঁটি ও ইপিজেড স্থাপিত হলে পুরো দক্ষিণাঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক জোনে পরিণত হবে। একই সঙ্গে মোংলা ও পায়রা বন্দরের গুরুত্বও বাড়বে। আধুনিকায়ন হলে পায়রা বন্দর ভবিষ্যতে এক বৃহত্তম বন্দরে পরিণত হবে। এমনকি ভুটান, পূর্ব নেপাল ও ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব রাজ্যগুলো পায়রার মাধ্যমে পণ্য আমদানিতে উপকৃত হবে। 

 বাস্তব স্বপ্ন ও চেষ্টা কখনোই ব্যর্থ হয় না। যদি স্বপ্নকে বিশ্বাসে রূপান্তরিত করতে পারা যায় তাহলে তা অর্জনও করা যায়। বিশাল এই পৃথিবীতে দূর মহাকাশের নক্ষত্র থেকে আলো এসে পড়ে। আমরা সবাই এই পৃথিবীর প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছি মাত্র কিছু সময়ের জন্য যে সময়টা খুব বেশিও নয় আবার খুব কমও নয়। এই সময়কে নিজের ইচ্ছে মতো সাজিয়ে নিতে দরকার সুপরিকল্পিত স্বপ্নের। আমরা সবাই সাফল্য চাই। পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট খরচ করা হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি। বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে সরকার। 

১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতু থেকে সরে দাঁড়ানোর পর বাংলাদেশ সরকারের আসায় গুড়েবালি। দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ নিরাশ হয়ে যান। তাদের মুখের হাসি হয় মলিন। তারা ভাবেন- আর মনে হয় পদ্মা সেতু হবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষকে নিরাশ করেনি। প্রধানমন্ত্রীও নিরাশ হননি। তিনি মনের মধ্যে স্বপ্ন জিয়ে রেখেছেন। তিনি যখন বললেন, বিশ্বব্যাংক ঋণ দেয়নি তাতে কী হয়েছে। পদ্মা সেতু হবে, নিজেদের অর্থায়নেই হবে। সরকারের এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় উঠে। এমনকি বিশ্বব্যাংকও সমালোচনা করে। আড়ালে থেকে খিল খিল করে হাসে। বাংলাদেশ সরকার দেখিয়ে দিল- আমরাও পারি স্বপ্ন দেখতে, আমরাও পারি স্বপ্ন পূরণ করতে। 


আজ ঠিকই আওয়ামী লীগ সরকারের স্বপ্ন পূরণ হলো। মুখে হাসি ফুটল দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের। কলুপ এঁটে দিলেন নিদ্দুকের মুখে। দেশনেত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিলেন বিশ্ববাসীকে। পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।


Durbar Bagerhat


  • পঙ্গুত্বের কাছে হার মানেনি সুমাইয়া: পঙ্গুত্বের কাছে হার মানেনি সুমাইয়া !অটুট… http://goo.gl/fb/xxxx durbar bagerhat
  • পদ্মা সেতু: খুলনায় কয়েক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে: স্বপ্নের পদ্মা… http://goo.gl/fb/xxxx durbar bagerhat
  • নবীর অপমান সইবে না মুসলমান | খুলনায় বিক্ষোভ মিছিল | Focus Bagerhat: https… http://goo.gl/fb/xxxx durbar bagerhat
  • সারাদেশে শুরু হয়েছে করোনার বুস্টার ডোজ সপ্তাহ: সারাদেশে শুরু হয়েছে করোনার… http://goo.gl/fb/xxxx durbar bagerhat

Comments

Popular posts from this blog

Once Again Sheikh Hasina

The Bright Future of Bangladesh with Sheikh Hasina

Meta AI Systems that Generate Images