‘রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনকারী জাতি কোনদিন সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হতে পারে না’
ইমরুল কায়েস, বাগেরহাট :: যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আতিয়ার রহমান দীপু বলেছেন, বলেন, ‘১৬ কোটি মানুষের দেশে জঙ্গিদের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন। রক্ত দিয়ে যে জাতি ভাষা ও স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে সে জাতি কোনদিন হাতেগোনা কিছু জঙ্গির হাতে জিম্মি হতে পারে না। অবশ্যই আমরা তাদের মুলোৎপাটন করবো। জঙ্গি নির্মূলে শেখ হাসিনার সরকারের অঙ্গিকার দেশ, ধর্ম, সমাজকে বাঁচানোর জন্য। কাজেই এতে সকলকে অংশগ্রহণ করতে হবে। এটি শুধু সরকারের একার কাজ নয়। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে এই লক্ষ অর্জন করা সম্ভব।’
শনিবার বিকেলে বাগেরহাট রেলরোডস্থ আওয়ামীলীগ কার্যালয় প্রাঙ্গনে জেলা যুবলীগ আয়োজীত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী যুব সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন ‘ যারা মসজিদে হামলা করে, যারা ঈদের জামাতে হামলা করে, তারা কেমন মুসলিম! স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী, সাম্প্রদায়িক শক্তি যারা চায় না বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাক তারাই এই জঙ্গিবাদের মদদদাতা। বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। জঙ্গিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলা হবে। জঙ্গিবাদ কেবল আইনশৃঙ্খলার সমস্যা নয়। এটি নাগরিক, সামাজিক ও বৈশ্বিক সমস্যা। কাজেই এই সমস্যাকে সামাজিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য যুবলীগের সবল নেকাকর্মীদের নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সন্ত্রাসীদের অপতপরতারোধে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।
বাগেরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেন প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন ‘বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে। তারা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে একটি জঙ্গিবাদী ও অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করার অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট মতায় এসে জঙ্গিবাদ দমনে কঠোর পদপে নেওয়ায় বাংলাদেশ জঙ্গি দমনে বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। হত্যা, ক্ষুন, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে জন্ম নেওয়া একটি রাজনৈতিক দল অবৈধভাবে মতা দখলের পর সংবিধান সংশোধন করে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। এরা আসার পর থেকে এই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়েছে এবং এদেরকে মদদ দিয়ে যাচ্ছেতিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম । অথচ সেই ধর্মের নাম নিয়ে এমন জঘন্য হত্যাকান্ডে ইসলাম ধর্মকেই হেয় করা এবং মর্যাদা ুণ্ন করা হচ্ছে। যারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের মদদদাতা, অর্থদাতা, প্রশিণদাতা বা কারা তাদের মাথায় উদ্ভট চিন্তা ঢোকাচ্ছে বা উৎসাহিত করছে সেটাই হচ্ছে দুঃচিন্তার বিষয়।’জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক সরদার নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী যুব সমাবেশে আওয়ামী যুবলীগের সাংগছনিক সম্পাদক মো. আসাদুল হক আসাদ বলেন আইএস, আলকায়দা ও তালেবান নামে কোনো জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশে নেই। জামায়াত-শিবির আন্তর্জাতিক সংস্থার নাম ব্যবহার করে দেশে একের পর এর জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে। দেশে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে জামায়াত ইসলাম এখন আদালতের কাঠগড়ায়।জামায়াত ইসলামের শীর্ষপর্যায়ের অনেক নেতা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে বিচারের রায়ে দন্ড ভোগ করছেন এবং আরও অনেক শীর্ষ নেতার মামলা এখনো বিচারধীন আছে। এদের বিচার শেষ হওয়ার পর পরই যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াত ইসলামের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী যুব সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্যদেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মিসেস হ্যাপী বড়াল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক খান হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ আয়োমী যুবলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো শফিকুল ইসলাম শফিক, সহ সম্পাদক মো. রবিউল আলম, শারমিন সুলতানা লিলি, সাবিহা খাতুন, কার্যনির্বাহী সদস্য মৃনাল কান্তি জোয়াদ্দার, সৈয়দ এহসানুল হক টুটুল, যুব নেতা তারেক রায়হান প্রমুখ।
‘টার্গেট কিলিংয়ের’ মাধ্যমে হত্যা করা ব্লগার, প্রকাশক, প্রগতিশীল লেখকদের হত্যাসহ হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিদের দ্বারা সংঘটিত ঘটনা এদেশের ইতিহাসে ঘৃণ্যতম কর্মকান্ড ও শোলাকিয়ায়র ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেন বক্তারা। একই সাথে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সব সময় সেচ্চার থাকার আহবান জানান তারা।##
Comments